আমি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত এই কলাম-এর বীরদের ক্রমানুযায়ী সাজানো যেটা ১৯৭১-এর ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপ্রকাশিত তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে পরিকল্পিত। দু'লাইন বা দু'পৃষ্ঠা, দুর্ধর্ষ অথবা শান্তিপ্রবণ যারা গণমাধ্যমে কীর্তিত নয় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রত্যাশার উদ্দীপিত হয়ে প্রতিরোধে ও শত্রুমুক্ত করতে অকুতোভয়ে লড়াই করছে তাদের ভাষায় তাদের কথা লেখা। শহীদের সত্য ইতিহাস সংগ্রহে সতর্কতা ছিল। আমরা এখনো পর্যন্ত কোন বইয়ের লেখা তুলে ধরিনি। তবে ওয়েবসাইট ঘাটা-ঘাটি করেছি, তথ্য যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য হলে সংগ্রহ করেছি।
Protest Action at Motijheel Central Govt Boy's High School before 7th March'71
তারিখ অনুযায়ী ১ মার্চ থেকে ৬ মার্চের ঘটনা প্রথমেই আসে - প্রতিরোধে মতিঝিল সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুল ..৭ মার্চ '৭১-এর পূৰ্বে।
1971 martyrs Bloodlines and forgotten heroes of Bangladesh Liberation War
Braveheart Nasir Ahmed Apu Forgotten Hero of Bangladesh Liberation War 1971
Nasir Ahmed Apu
আমার বড় ভাই
বীর মুক্তিযাদ্ধা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক ও
মুক্তি যুদ্ধের কণ্ঠ সৈনিকমন্জুর আহমেদ( দিপু)
Vocal, Lyrics, Music and Produced by Nasir Ahmed Apu of Spondan
Guitar by Labu Rahman ( Feedback )
Keyboard by Foad Nasser ( Feedback )
Drums by Popsy
Bass by Lucky.
This song is dedicated to Barkat, Salam, Rafiq, Jabbar and others who gave their lives in Dhaka City to defend their Mother language " Bangla " on 21st February, 1952 . Music video Directed by Saifur R. Osmani.
Produced by Nasir Ahmed Apu
১ মার্চ ১৯৭১ঃ উত্তাল দিন গুলো
স্টেডিয়াম এবং পল্টন ময়দানের ছবি। এই ছবিতে ডি. আই. টি. ভবন এবং হোটেল পূর্বানী দেখা যাচ্ছে।
ছবি: উত্তম রয়-এর এফবি পেজ।
আমি, হিরু, দুলাল, শিবলী, রাজা, ইমরোজ, ইমরান, বুলবুল ফারুক, শীলু সহ মতিঝিল কলোনির ও স্কুল সহপাঠী বন্ধুর একটি দল খেলা দেখছিলাম। দুপুরের দিকে হঠাৎ খবর পেলাম ইয়াহিয়া খান সংসদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করেছে। উত্তাল হয়ে উঠল পুরো গ্যালারীর দর্শকরা। ভাঙচুর শুরু হল। মাঠের মধ্যে দুই দলের ক্রিকেটাররা নিরাপদ বিশ্রাম রুমে চলে গেল। তখন মাঠের মধ্যে উত্তেজিত হাজার হাজার দর্শক। আমরা পল্টন ময়দানের সামনে ভিড় করলাম। ইতিমধ্যে পল্টন ময়দান জিন্নাহ এভিনিউ জনতার সমুদ্র। হোটেল পূর্বানীতে তখন আওয়ামীলীগের মিটিং চলছে।
ইতিমধ্যে গুলিস্তান এবং নাজ সিনামা হলে আগুন দেয়া হয়েছে। গুলিস্তানের ঘটনা শেষ হবার পর আমরা পল্টন ময়দানে এলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অনেক নেতাদের সাথে দেখা হল। স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকাটি গর্জে উঠছিল। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হল। আমরা চলে গেলাম পূর্বাণী হোটেলে বঙ্গবন্ধুর প্রেস কনফারেন্সে।
from web:
March 1, 1971
President Yahya in a sudden radio speech suspends the national committee session to be held on 3rd march for an indefinite period.
The cricket match being held in Dhaka stadium between BCCP and International XI is suspended. The audiences leave the stadium to take part in protests and they head towards Hotel Purbani in Motijheel to receive further directions from Awami League chief Sheikh Mujibur Rahman.
After the Parliamentary party meeting in Hotel Purbani in a crowded press conference Awami league chief Sheikh Mujibur Rahman expresses severe/deep objection to President Yahya Khan’s Announcement of suspending the national/Parliamentary committee meeting and also says that the people of the country have refused the decision and deem it unacceptable. In regard of this decision (Sheikh Mujibur Rahman) calls for a hartal/strike in Dhaka on 2nd March, countrywide strike on 3rd March and a rally in Race course field on 7th March as a part of an all pervading agitation or movement.
২মার্চ ১৯৭১, স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তলনের দিন
একাত্তরের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় প্রথম লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব। পরদিন ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ। ২ দিনই আমরা বন্ধুরা বটতলা ও পল্টন ময়দানে এবং বটতলা থেকে পুরান ঢাকার ভেতর দিয়ে বায়তুল মুকাররম পর্যন্ত মিছিলে ছিলাম।
রাতে আমি, দুলাল, শিবলী, ইমরোজ চলে গেলাম ইকবাল হল। হিরু যেতে পারলো না তার বাসার কড়াকড়ির জন্য। হলে প্রচন্ড বাকবিতন্ডা। অনেক রাতে ফিরে এলাম বড় ভাইদের কিছু নির্দেশনা নিয়ে।
From web:
March 2, 1971
In a historic student rally held in Bottola of the Dhaka University Premises, the Bangladesh flag with the Map of Bangladesh inlaid in it is hoisted. The Flag is hoisted by Student leader A. S. M. Abdur Rob, along with him are present Chhatra Sangram Parishad leader Tofayel Ahmed,Abdul Quddus Makhan, and Nur-e-Alam Siddiqui are present.In this huge meeting, determination is expressed to undergo any sacrifice and continue to fight till the end. An oath is taken in the beginning of the meeting by the student body under the leadership of Bangabandhu to continue the fight for freedom. In the meeting, Chhatra League secretary Shahjahan Shiraj and Dakshur general secretary Abdul Quddus Makhan also give speeches. After the meeting ends a huge procession is lead out chanting Freedom/independence slogans ending at Baitul Mukarram.
৩ মার্চ ১৯৭১/ প্রতিরোধে মতিঝিল সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুল
প্রানপ্রিয় বঙ্গবন্ধুকে নেতা মেনে নিয়েই আমাদের ওই কর্মকান্ড। তাহলে ১ থেকে ৬ মার্চ কেন? দেশপ্রেম? আমি বলতে পারবো না, আমাদের বন্ধু অপু, দুলাল, শিবলী, ইমরোজ হয়তো গুছিয়ে বলতে পারবে। আমার ধারণা একটা চেতনা কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উদয় হয়নি। ৫২ থেকে ৬৮, ৬৯ ছুঁয়ে একটা চেতনা হৃদয়ে, মস্তৃষ্কের আনাচে-কানাচে ঘুরপাক খেত ৭১-এ এসে বিস্ফোরিত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্দালয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়, আমরা সব বন্ধু সেখানে ছিলাম, মিছিলের শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার স্বপক্ষে দাবি ও প্রতিবাদী হয়েছিলাম। সেই রাতেই ৬ জন একত্রিত হয়ে প্রতিরোধে শপথ নিয়ে অভিযানে অংশ নিয়ে সফল হয়েছিলাম। কিন্তু ৪৬ বছর কাউকেই ঘটনা খুলে বলা হয়নি।
হ্যা। এই সেই স্কুল! আমাদের সেন্ট্রাল গভঃ বয়েস হাইস্কুল। এই সেই দিন, মার্চ ৩, ১৯৭১। সুর্য অস্তের সাথে আমাদের অভিযান প্রক্রিয়া। সমস্ত inch by inch বলবোনা। তবে জানালার পেরেক খুলে উপচিয়ে lab এ ঢুকে গিয়েছিলো আমার শরীর। সমস্ত acid Bottle ও পাউডার বুকে তুলে উপরে নিয়ে ধাপে ধাপে কিনারায় জানানালার উপরে পৌছে দিয়েছিলাম আমি তোদের কাছে যারা হাত বাড়িয়ে ধরার জন্য অন্ধকারে দাড়িয়েছিলি। অন্ধকার lab এ শুধু একা ছিলাম আমি, কঙ্কালটাকে দেখে প্রথমে গা ছমছম করলেও পরে পাত্তা দেয়নি, মনে হলো হাতে সময় কম। কাঁচের আলমারীর ছোট তালাগুলো কায়েদা করে ভেঙেছিলাম। তারপর incredible যাত্রা । সব পেট আর জামায় ঢেকে হেটে গন্তব্যে পৌছে যাওয়া।সঙ্গে কয়েকটা ব্যাগ। যে পথে স্কুলে ঢুকেছি সেপথে ফিরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। দুলাল নাইট গার্ডকে কায়েদা করে গল্পের ছলে আটকে রেখেছিলো প্রায় ২-৩ ঘন্টা। পুলিশ লাইনের দিকের দেয়াল টপকে "শিস" দিয়ে দুলালকে সংকেত দিলাম, দুলাল অনেকটা ঘুরে আমাদের সঙ্গে মিলিত হলো। কারফিউ ছিল, কিন্তূ কড়াকড়ি না। তবে পাকি আর্মি জীপ্ পথরোধ করলে কি হতো বলা যায় না। সাহসী দুলালের বাসায় রাত ১১ টায় বহন করে আনা এক্সপ্লোসিভ তৈরীর সব কিছু রাখা হলো। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা জননী হলো দুলালের মা (মা সালাম), মানে আমাদের খালাম্মা। দুলালের সব কিছুই সইতো, বাবাকে আড়াল করে। জানতো আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি দেশের জন্য, সব লুকিয়ে রাখলেন, সম্ভবতঃ ইমরোজ বাসায়ও কিছু রাখা হয়েছিল। পরদিন পরীক্ষামূলক বম্ব-ব্লাস্টের সময় নির্ধারণ হলো সকাল ১০টার পর।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার অধিকারে আমরা ছিলাম প্রথম মুক্তি যোদ্ধার মধ্যে কয়েকজন।
আমরা ছিলাম - আমি, হিরু, শক্তিশালী দুলাল, ডানপিটে শিবলী, ভদ্র ইমরোজ, ম্যাকগাইভার রাজা (রাজা চিরকালের জন্য হারিয়ে গেলো), হয়তো ফারুক, মাদ্রসা বাদল। পিচচি মনসুর, আর শীলুর কথা মনে পরছেনা।
Motijheel Govt. Boy's High School-A bird's-eye view of the school
আমার ৩ মার্চের সকালের পর কিছু প্রসঙ্গ বাদ পড়েছিল। হিরু কাজে ব্যাস্ত ছিল. তাঁরও চোখে পড়েনি। মার্চ ৩, সকাল। রাতে ভালো ঘুম হয়নি উত্তেজনায়। ১০ টার পর ৬ জন আলোচনায় বসলাম। সমস্যা ছিল, রাতে জানালার গ্রিল খুলবো কিভাবে? স্থির হলো তখনি একটা ফুটবল নিয়ে সাইন্স ল্যাব সংলগ্ন মাঠে খেলতে থাকবো। রাজা ছিল জটিল কাজ সমাধানে পটু. চলে গেলাম স্কুল, সময় বোধয় ১২টা (+-), দারোয়ান কিছুটা অবাক, সময়টা প্রাকটিস-এর জন্য উপযুক্ত না। বুঝিয়ে মাঠে ঢুকে গেলাম। রাজা চাতুর্যের সঙ্গে গ্রিল খুলে আলগা করে রাখলো, শুধু কয়েকটা পেরেক ড্রিলের ছিদ্রে দিয়ে গ্রিল পড়ে না যাওয়া নিশ্চিত করলো। তখনও আমি জানতাম না ওই জানালা দিয়ে আমাকেই ঢুকতে হবে। যেহেতু জানতাম না, ফুর্তিতে বাসায় ফিরলাম। তখন দুপুর ২ টা হবে।
আমাদের একটা কাজ ছিল, পল্টন ময়দানে যাওয়া। কারণ ২ মার্চের পতাকার অনুকরণে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো পতাকা ছাত্র-জনতা বহন করে পল্টন ময়দানে জমায়েত হবে, বঙ্গবন্ধু আসবেন, তাঁর উপস্তিতি ও সম্মতিতে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হবে। খুবই উত্তেজনাকর ব্যাপার। বঙ্গবন্ধু একটু দেরিতে পৌঁছালেন।জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হলো। ইমরান আরামবাগের টেইলরিং দোকান থেকে আলহেলাল জোনের পক্ষ থেকে পতাকা বানালো, মিছিল নিয়ে পল্টন ময়দানে স্লোগান দিতে দিতে চলে গেলো। ........ রাতের ঘটনা আমি আগেই বলেছি।
Test Bomb blasted on March 4 1971 Behind Building No.30/G7&8 মার্চ ৪, ১৯৭১। সকালেই দুলালের বাসা থেকে সব এসিড, কেমিকাল, পাউডার লুকিয়ে জড়ো করলাম আমাদের বাসার সামনের বা-৩০/জি-৭-৮ নং ফ্ল্যাটের পেছলের এক চিলতে বাগানে। ২ জন ঢাকা ইউনিভার্সিটি-র সিনিয়র ভাই আমাদের হেল্প করছিলেন। মাটিতে গর্ত খোঁড়া হলো। বাছাই করা পাউডার গর্তে দেয়া হলো, উপরে কায়দা করে একটা বাল্বে এসিড রাখা হলো। একটা একটু লম্বা শুরু রড বাল্বে ঢুকিয়ে তার সঙ্গে বাঁশের কঞ্চি লাগানো হলো ব্যালান্স রাখবার জন্য ও আঘাত করে বাল্বটিকে ভাঙবার জন্য, যেন এসিড পাউডার-এ মিশ্রিত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটলোও তাই। প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরণ হলো। ধামাকা। বিস্ফোরণের শব্দে সবাই জেনে গেলো, আমরা বম্ব বানাচ্ছি, সাথে যোগ হলো আমাদের কাছেই অস্ত্র আছে। আমাদের প্রতিরোধের ট্রেনিং চলতে থাকলো আলহেলাল হোটেলের পূর্ব দিকে কলোনির ভেতরে পুকুরের পশ্চিম পারের মাঠে। পুকুর ভরাট থাকলেও পুকুর পাড় নামটা চালু ছিল।
৭ মার্চ, ১৯৭১। বঙ্গবন্ধুর স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রস্তুতির জন্য বাঙালিকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। পাশাপাশি পাকিস্তান সরকারকে সতর্ক করচ্ছিলেন তাদেরকে জনগণের বিরুদ্ধে গুলি বর্ষণ করে হত্যা করা বন্ধ করার জন্য। সেনা বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। আজথেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হল। এমনকি বঙ্গবন্ধু বললেন "আমি যদি বলতে নাও পারি, তোমরা যার কাছে যাই আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকবে। প্রয়োজনে তাই নিয়ে এগিয়ে যাবে"। বঙ্গবন্ধুর আর এই ঐতিহাসিক ভাষণ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরল। বাঙালী অনুপ্রাণিত হল আগামী সংগ্রামের দিকে।
Glorious is our Victory Day- December 16, 1971.
A momentum, a memoir of us on this day at Airport Road, Dhaka city around 2:30 PM on our way to Tejgaon Airport witnessing our victory over the enemy. People were
chanting all over Joy Bangla , Joy Bangla and Joy Bangla